আন্তর্জাতিক ডেস্ক
জেনারেল সোলাইমানি হত্যার প্রতিশোধ নেওয়া ইতোমধ্যে শুরু করেছে ইরান। প্রতিশোধের অংশ হিসেবে গত বুধবার ইরাকে অবস্থিত দুটি মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে তারা। এ সময় সম্ভাব্য যুদ্ধের কথা ভেবে পাঁচ হাজার ক্ষেপণাস্ত্র প্রস্তুত রেখেছিল বলে জানিয়েছেন ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনী অ্যারোস্পেস ফোর্সের প্রধান আমির আলী হাজিযাদেহ। খবর ‘মিডল ইস্ট মনিটর’।
আলী হাজিযাদেহ বলেন, বুধবার (৮ জানুয়ারি) ইরাকে অবস্থিত মার্কিন ঘাঁটিতে চালানো হামলায় আমরা ১৩টি ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে আঘাত করেছি। আমরা ভেবেছিলাম উভয় পক্ষ সংযম না দেখালে অন্তত তিন থেকে সাত দিন পর্যন্ত যুদ্ধ চলবে। এ জন্য আমরা পাঁচ হাজার ক্ষেপণাস্ত্র প্রস্তুত রেখেছিলাম।
এরপর তিনি যোগ করেন, মার্কিন ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ১৫ মিনিট পর ইলেকট্রনিক যুদ্ধ পরিচালনা করা হয়। এর ফলে মার্কিন ড্রোন ও বিমানগুলো কয়েক মুহূর্তের জন্য নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়ে। এ ঘটনায় মার্কিন সেনাদের মনোবল ভেঙে যায়। আর সম্পূর্ণ হতবিহ্বল হয়ে পড়ে তারা।
অ্যারোস্পেস ফোর্সের প্রধান আরও জানান, মার্কিন বাহিনী সতর্ক ছিল। সোলাইমানিকে হত্যা করার পর থেকে হামলার আশঙ্কায় উদ্বিগ্ন ছিল তারা। এ কারণে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার আগ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের ১২টি বিমান ও ড্রোন সবসময় ইরাকের আকাশে নানা তৎপরতা চালাচ্ছিল। তবুও তারা আমাদের হামলা ঠেকাতে ব্যর্থ হয়েছে।
আরও পড়ুন- আফগানিস্তানে মার্কিনিদের বিমান হামলায় নিহত ৬০
এ সময় ইরানের হামলায় যুক্তরাষ্ট্রের আইন আল আসাদ ঘাঁটির কমান্ড সেন্টার ধ্বংস হয়ে গেছে বলেও জানিয়েছেন অ্যারোস্পেস ফোর্সের প্রধান আমির আলী হাজিযাদেহ।
ওডি/এসসা
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: inbox.odhikar@gmail.com
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড