আন্তর্জাতিক ডেস্ক
যুক্তরাষ্ট্র ও তার মধ্যপ্রাচ্যের মিত্ররা দীর্ঘদিন ধরে ইরানকে হুমকি দিয়ে আসছে। তারা ক্ষমতা দেখানোর ডাকও দিয়েছে কয়েকবার। অথচ যখন সেই ক্ষমতা দেখানোর সময় এলো তখন ‘লেজ গুটিয়ে’ পালিয়েছে।
মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের মিত্ররা দীর্ঘদিন ধরে মার্কিন প্রশাসনকে নানাভাবে চাপ দিয়ে আসছে ইরানের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য। কোনো কোনো ক্ষেত্রে ইরানের বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপ নেওয়ার পক্ষেও ছিল তারা।
অথচ যুক্তরাষ্ট্র যখন ইরানের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ল তখন লেজ গুটিয়ে নিয়েছে সব মিত্র। তারা এখন নিজেদের সুরক্ষার জন্য ব্যস্ত হয়ে উঠেছে। ফলে যুক্তরাষ্ট্রও শেষ পর্যন্ত লেজ গুটাতে বাধ্য হলো।
মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ মিত্র ভাবা হয় ইসরায়েল ও সৌদি আরবকে। ইরানের শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা কাসেম সোলাইমানিকে হত্যা পর্যন্ত ঠিকই ছিল তারা। এরপর ইরানের পাল্টা হামলার হুঁশিয়ারি ও হামলা সম্পর্কিত গোয়েন্দা প্রতিবেদনের কারণেই হয়তো ‘ইউ-টার্ন’ নেয় দেশ দুটি।
যে সময়ে সৌদি আরব ও ইসরায়েলকে যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন ছিল ওই মুহূর্তেই তারা নিজের চিন্তা করেছে। যুক্তরাষ্ট্রকে শক্ত সমর্থন দেওয়ার বিপরীতে সৌদি আরব এক বিবৃতিতে দুই পক্ষকেই সংযত ও উত্তেজনা হ্রাসের আহ্বান জানায়।
আরও পড়ুন : যুক্তরাষ্ট্র জবাব দিলেই প্রাণ হারাত ৫ হাজার মার্কিন সেনা
অন্যদিকে সোলাইমানি হত্যার পর আনন্দ প্রকাশ করেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। তিনি সবার সামনেই ডোনাল্ড ট্রাম্পের ব্যাপক প্রশংসা করেন। অথচ গোয়েন্দারা বলছে, নেতানিয়াহু নাকি তার দেশের শীর্ষ কর্মকর্তাদের বলেছেন- এটা ইসরায়েলের কোনো বিষয় নয়, এটা যুক্তরাষ্ট্রের বিষয়। আমরা এখানে জড়াতে চাই না।
মধ্যপ্রাচ্যে সবচেয়ে বড় দুই বন্ধুর এমন মনোভাবের কারণে ইরানের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে শক্ত কোনো খুঁটি পায়নি যুক্তরাষ্ট্র। এছাড়া যুদ্ধে ব্যাপক অর্থ ব্যয়ের চিন্তা ও বিরোধী দলের চাপের কারণে শেষ পর্যন্ত ইরানের কাছে এক রকম পরাজয়ই বরণ করতে হলো মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের।
সূত্র : পলিটিকো
ওডি/ডিএইচ
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: inbox.odhikar@gmail.com
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড