ক্রীড়া ডেস্ক
সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে শেষ হলো তিন ক্লাবের লড়াই। দীর্ঘ কয়েক মাস ধরে চলা সেই ম্যারাথনে শেষ পর্যন্ত জিতে নিয়েছে আমেরিকান মেজর সকার (এমএলএস) ক্লাব ইন্টার মিয়ামি।
সর্বশেষ কাতার বিশ্বকাপের পর থেকেই পিএসজির আর্জেন্টাইন মহা তারকা লিওনেল মেসির দলবদলের আলোচনা শুরু হয়।
ক্ষণে ক্ষণে বাঁক নিয়েছে সেই গুঞ্জন। অবশেষে বার্সেলোনা ও সৌদি আরবের আশায় গুড়েবালি করে দিয়ে মিয়ামি মেসিকে দলে ভিড়িয়েছে।
গতকাল বুধবার (৭ জুন) সন্ধ্যা নাগাদ স্প্যানিশ সাংবাদিক গিলেম বালাগ মেসিকে নিয়ে প্রথম সেই চমকে দেওয়া খবর দিয়েছিল। তার মতে, সম্প্রতি পিএসজিকে বিদায় বলা এই ফরোয়ার্ড মিয়ামিতে যেতে রাজি হয়েছেন। তবে বাকি ছিল মেসির আনুষ্ঠানিক ঘোষণা। এবার চূড়ান্তভাবে মিয়ামিতে যোগদানের ঘোষণা দিয়েছেন এই আর্জেন্টাইন অধিনায়ক।
এদিন বাংলাদেশ সময় রাত ১টায় প্যারিসে স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম স্পোর্তো ও মুন্দো দেপোর্তিবোকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ইন্টার মিয়ামিতে নাম লেখানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেন মেসি। তিনি বলেন, আমি বার্সেলোনায় ফিরে যাচ্ছি না, আমি ইন্টার মিয়ামিতে যাচ্ছি।
মেসির দলবদল আলোচনায় ঘুরে ফিরে আসছিল পুরনো ক্লাব বার্সেলোনার নাম। সে প্রসঙ্গে আর্জেন্টাইন মহা তারকা বলেন, আমি সত্যিই ফিরে আসতে চেয়েছিলাম কিন্তু, আমি ছেড়ে যাবার সময় যা অনুভব করেছিলাম তা অনুভব করার পর আবারো একই পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে চাইনি। আমার ভবিষ্যৎ অন্য কারো হাতে ছেড়ে দিতে চাই না।
মেসি আরও বলেন, শুনেছিলাম, (আমার জন্য) বার্সেলোনাকে খেলোয়াড় বেচতে হবে বা খেলোয়াড়দের বেতন কমাতে হবে। আমি এর ভেতর দিয়ে যেতে চাইনি।
যদিও মেসির এমন চমক জাগানো সিদ্ধান্তে বার্সেলোনার অবদানও কম নয়। গুঞ্জন রয়েছে, এই আর্জেন্টাইন মহা তারকার সঙ্গে চুক্তির বিষয়ে তার বাবা ও এজেন্ট জর্জ মেসিকে নিশ্চয়তা দিতে পারেনি বার্সা। অন্যদিকে লোভনীয় সব প্রস্তাব নিয়ে সৌদি ক্লাব আল-হিলাল ক্রমাগত যোগাযোগ করে গেলেও, মেসি কাতালান ক্লাবটিকেই এক নম্বরে রেখেছিলেন। কিন্তু আবেগের সেই ঠিকানা অর্থ সঙ্কট ও লা লিগার কঠোর নীতিমালা মিলিয়ে মহা তারকাকে পুনরায় স্প্যানিশ ডেরায় ফেরাতে ব্যর্থ হয়েছে।
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: inbox.odhikar@gmail.com
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড