ফারুক সুমন
অন্তহীন
বহুদিন ধরেই তো জল তুলে নলে ঢেলেছি পূর্ণতার লোভে, ধরেছি জলের গান আর এভাবেই বেড়ে চলে জীবনের পরিধি নলের অন্ত কোথায় মেলেনি সন্ধান।
ঈর্ষা
কেউ কেউ দূরত্ব ভালোবাসে দূর থেকে দেখে আর হাসে দূরের দ্বীপ হয়ে তাকিয়ে দেখে তীর ঢেউয়ের তোড়ে কতটা ভেঙেছে, তলিয়েছে এই তার সুখ, এই তার আজন্ম অসুখ।
উৎসে ফেরা
যাই, বেড়িয়ে আসি অপেক্ষায় আছে নীলকন্ঠ পাখি চোখ জুড়ে তার মরুভূমির বালি মনে করতোয়ার গান, বিরহ পরান।
এসব মায়ার ছায়া অদৃশ্য কায়া
চলতে চলতে যেখানে গিয়ে থামি তার নাম ক্লান্তি, দীর্ঘশ্বাস, বিরহবাতাস
সবুজ আর লালের আহ্লাদে অথচ একদিন করেছ শপথ প্রয়োজনে অপেক্ষায় থেকে বৃক্ষ হবে প্রয়োজনে ঘর ছেড়ে পালিয়ে যাবে প্রয়োজনে মায়ের গহনায় দিবে হাত তবুও এসব কথা বলে বলে গেছে দিনরাত।
মনে পড়ে- তোমার রৌদ্রোজ্বল ভোরের বাতায়ন তোমার উন্মত্ত অধীর ওষ্ঠের কাঁপন হেঁটে যাও কেটে যাও মুহূর্তের মুখ মনের অসুখ, পাতা যদি ঝরে যায় রিক্ত দাঁড়িয়ে হায় বৃক্ষশাখামুখ।
এসব মায়ার ছায়া অদৃশ্য কায়া।
পরিণত প্রণয়ের দিনে
স্বল্পবসনা নারী ভীষণ অনাহারী পাড়ভাঙা নদীর মতো বিরহে থাকুক। কামার্ত পুরুষ মুহূর্তের মুখরতায় ভুলেছে উৎসমুখ বনবাসের কথা অথচ একদা এই বনে যৌনজীবন। অথচ একদা এই বনে যৌথমরণ এখনও পড়ে আছে রতি, মধুরাতি।
এভাবে ভুলে গেলে গানগুলো ঘুম হয়ে যায় ওগো স্তব্ধতা, ফিরেয়ে দাও- লতাগুল্মবৃক্ষের ছায়া সুনিবিড়।
আরও পড়ুন : কবিতায় ছন্দের দ্বিধাদ্বন্দ্ব
ওডি/এসএন
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: inbox.odhikar@gmail.com
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড