আন্তর্জাতিক ডেস্ক
রিয়াধের একটি সভায় আমেরিকার বিদেশসচিব অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন দাবি করলেন, যুদ্ধবিরতির পথে একমাত্র বাধা সৃষ্টি করছে হামাস। তাদের উচিত ইজরায়েলের বন্দি বিনিময়ের ‘অত্যন্ত উদার’ প্রস্তাব মেনে নেওয়া।
গাজায় ‘গণহত্যা’ চালাতে যেভাবে আমেরিকার দেওয়া অস্ত্রের ব্যবহার করছে বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সেনা, তা নিয়ে আপত্তি জানিয়েছে নানা মহল। গুঞ্জনও উঠেছে যে নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে ইন্টারন্যাশনাল ক্রিমিনাল কোর্টে (আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত) গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হতে পারে। ইতিমধ্যে দক্ষিণ আফ্রিকা ইজরায়েলের বিরুদ্ধে গণহত্যা এবং ‘জেনোসাইড কনভেনশন’ ভাঙার অভিযোগ নিয়ে গিয়েছে। যদিও আইসিসি এ বিষয়ে কোনও রায় দেয়নি এখনও।
এই আবহে রিয়াধে আয়োজিত বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের একটি সভায় ব্লিঙ্কেন বললেন, “হামাস যেন দ্রুত ইজরায়েলের ‘অত্যন্ত উদার’ প্রস্তাবটি মেনে নেয় এবং ইজরায়েলের বন্দিদের মুক্তি দেয়।”
ব্লিঙ্কেনের দাবি, হামাসকে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে হবে। তা হলেই যুদ্ধবিরতি সম্ভব।
সংবাদ মাধ্যম সূত্রে এ-ও জানা গিয়েছে যে, মিশরে যাচ্ছে হামাসের একটি প্রতিনিধি দল। গাজা স্ট্রিপের হামাসের ডেপুটি প্রধান, কাহলিল আল-হায়া জানিয়েছেন, কায়রোতে হওয়া সভায় তারা ইজ়রায়েলের প্রস্তাবের জবাব দেবেন। প্রসঙ্গত, ইজরায়েলের শান্তি প্রস্তাবকে দু’টি পর্বে ভাগ করা হয়েছে। প্রথম পর্বে গাজায় বন্দি ১৩০ জন ইজরায়েলির মধ্যে চল্লিশ জনকে ছেড়ে দেওয়ার শর্ত রাখা হয়েছে। বিনিময়ে ইজরায়েলি জেলে বন্দি কিছু প্যালেস্টাইনিকেও ছেড়ে দেওয়া হবে। দ্বিতীয় পর্বে ‘দীর্ঘমেয়াদি’ ভিত্তিতে শান্তি বজায় রাখা হবে।
উল্লেখ্য, ক্রমাগত ইজরায়েলি হামলা চলছে গাজায়। রবিবার রাত থেকে ক্রমাগত ক্ষেপণাস্ত্র হামলার জেরে রাফা সীমান্তে নিহত হয়েছেন বহু মানুষ। ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে বহু বসতি। এ-ও জানা গিয়েছে, রবিবার গাজ়ার একটি ক্যানসার হাসপাতালে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইজরায়েল। সব পরিকাঠামো নষ্ট হয়ে যাওয়ায় সেখান থেকে প্রাণ হাতে করে পালিয়ে যান চিকিৎসক-রোগীরা। চিকিৎসার অভাবে মৃত্যু হয় বহু মানুষের।
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: inbox.odhikar@gmail.com
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড