আন্তর্জাতিক ডেস্ক
জাতিসংঘে ইজরায়েলের উপর ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র হামলার কারণ ব্যাখ্যা করল ইরান। তাদের দাবি, ‘আত্মরক্ষা’র জন্যই এই হামলা। এ ক্ষেত্রে তাদের হাতে অন্য কোনও উপায় ছিল না বলেও দাবি করেছে খামেনির দেশ।
রোববার জাতিসংঘে ইরানের দূত আমির সাইদ ইরাভানি বলেন, “আমাদের আত্মরক্ষার অধিকার রয়েছে।”
জাতিসংঘের সমালোচনা করে তিনি বলেন, “নিরাপত্তা পরিষদ আন্তর্জাতিক শান্তি এবং নিরাপত্তা রক্ষায় ব্যর্থ হয়েছে।”
পশ্চিম এশিয়ার সাম্প্রতিক অস্থিরতা নিয়ে নিজেদের অবস্থান ব্যাখ্যা করে ইরান জানিয়েছে, তারা যুদ্ধের পরিধি কিংবা তীব্রতা বাড়ুক, এমনটা চায় না। তবে যে কোনও আগ্রাসন কিংবা হুঁশিয়ারির জবাব দিতে চায়।
গত ১ এপ্রিল সিরিয়ার রাজধানী দামাস্কাসে ইরানের দূতাবাসে হামলা চালানো হয়। এতে ইরান প্রশাসনের দুই কর্মকর্তা-সহ মোট ১২ জনের মৃত্যু হয়। কেউ এই বিমান হামলার দায় স্বীকার না করলেও মনে করা হয় যে, এর নেপথ্যে ছিল ইজরায়েল।
গত বৃহস্পতিবার ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আল হোসেইনি খামেনি বলেছিলেন, “ইজরায়েলকে অবশ্যই কৃতকর্মের শাস্তি পেতে হবে।” তারপরেই শনিবার মধ্যরাতে প্রায় ২০০টি ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র নিয়ে হামলা চালায় ইরান।
অন্য দিকে, ইরানের তরফে দাবি করা হয়েছে, আমেরিকা এবং পশ্চিম এশিয়ার ‘বন্ধু’ দেশগুলিকে জানিয়েই তারা ইজরায়েলে হামলা চালায়। যদিও ইরানের এই দাবি খারিজ করে দিয়েছে আমেরিকা।
প্রসঙ্গত, গত ৭ অক্টোবর গাজ়ায় সংঘর্ষ শুরুর পর থেকেই ধারাবাহিকভাবে হামাস, হিজবুল্লা, হুথি-সহ ইজরায়েল-বিরোধী সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলিকে মদত দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ইরানের বিরুদ্ধে। আর এজন্যই ইরানের ওপর ক্ষিপ্ত ইজরায়েল।
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: inbox.odhikar@gmail.com
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড