আন্তর্জাতিক ডেস্ক
কয়েক মাস ধরেই মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে চলছে চরম উত্তেজনা। এই উত্তেজনার আগুনে সম্প্রতি ঘি ঢালেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। কাসেম সোলাইমানিকে হত্যার মাধ্যমে বড় ধরনের ঝুঁকি নেন তিনি।
এরপর বাধ্য হয়ে নিজেই পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করেন ট্রাম্প। তার এই পরাজয় স্বীকারের কারণে বড় বিপদে পড়তে পারে ইসরায়েল। এমনকি দীর্ঘদিনের বন্ধু যুক্তরাষ্ট্রকে হারাতে পারে তেল আবিব। এটাকে ‘ইসরায়েলের পায়ের নিচ থেকে মাটি সরে যাওয়া’ হিসেবেই দেখছেন বিশ্লেষকরা।
সোলাইমানি হত্যার পর থেকে ক্ষোভে ফুঁসছে ইরান। তখন থেকে প্রতিশোধ নেওয়ার হুমকি দিয়ে আসছে তারা। এরই মধ্যে ইরাকে অবস্থিত মার্কিন ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলাও চালিয়েছে। তবে এটাই শেষ নয়, ক্ষেপণাস্ত্র হামলার মাধ্যমেই প্রতিশোধের শুরু হয়েছে বলে উল্লেখ করেছে তেহরান। দেশটি জানিয়েছে, সামনে আরও বড় হামলা হবে।
মার্কিন ঘাঁটিতে ইরান ২২টি ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার পরও শেষ পর্যন্ত পিছিয়ে এসেছেন ট্রাম্প। তিনি ইরানের বিরুদ্ধে বড় ধরনের কোনো পদক্ষেপ নেওয়ার পরিবর্তে দিয়েছেন শান্তির প্রস্তাব। তেহরানের প্রতি ট্রাম্পের এমন নমনীয় আচরণকে ‘বিশাল পরাজয় বা আত্মসমর্পণ’ হিসেবেই দেখছেন বিশ্লেষকরা।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম পলিটিকো ট্রাম্পের এমন অসহায় আত্মসমর্পণের কারণ বিশ্লেষণ করেছে। সেখানে বলা হয়, মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের দীর্ঘদিনের মিত্র সৌদি আরব ও ইসরায়েল মুখ ফিরিয়ে নেওয়ার কারণেই শান্ত হতে বাধ্য হয়েছেন ট্রাম্প। এটি তার জন্য বড় একটি পরাজয়। অথচ ইরানের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে সবচেয়ে বেশি প্ররোচিত করেছিল ইসরায়েল।
আরও পড়ুন : ইরাক-সিরিয়া সীমান্তে ইসরায়েলের হামলায় নিহত ৮
সোলাইমানি হত্যার পর আনন্দ প্রকাশ করেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। তিনি সবার সামনেই ডোনাল্ড ট্রাম্পের ব্যাপক প্রশংসা করেন। অথচ গোয়েন্দারা বলছে, নেতানিয়াহু নাকি তার দেশের শীর্ষ কর্মকর্তাদের বলেছেন- এটা ইসরায়েলের কোনো বিষয় নয়, এটা যুক্তরাষ্ট্রের বিষয়। আমরা এখানে জড়াতে চাই না।
বিপদের সময় ইসরায়েলের এমন মনোভাব যুক্তরাষ্ট্রকে যেমন চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলেছে তেমনি ছোটও করেছে অনেকটা। পলিটিকো এটাকে যেভাবে ব্যাখ্যা করেছে তার অর্থ- ‘গাছে তুলে মই কেড়ে নেওয়ার’ মতোই দাঁড়ায়। ফলে ভবিষ্যতে ইসরায়েলের পেছনে যুক্তরাষ্ট্র শক্তভাবে থাকবে না বলেই ধারণা করছেন বিশ্লেষকরা। এ কারণে তেল আবিবের সামনে হয়তো কঠিন বিপদই অপেক্ষা করছে।
ওডি/ডিএইচ
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: inbox.odhikar@gmail.com
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড