আন্তর্জাতিক ডেস্ক
তেহরানে ১৮০ জন আরোহী নিয়ে ইউক্রেনের ‘বোয়িং-৭৩৭’ মডেলের বিমান বিধ্বস্তের জন্য ইরানকে দায়ী করছেন যুক্তরাষ্ট্রসহ কয়েকটি পশ্চিমা দেশের নেতারা। তাদের দাবি, ইরানিদের ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতেই বিমানটি বিধ্বস্ত হয়েছে। তবে ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে বিমান বিধ্বস্তের কথা অস্বীকার করেছে ইরান। প্রয়োজনে তদন্তের আহ্বান জানিয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশটি। খবর ‘মিডল ইস্ট মনিটর’।
গত বুধবার (৮ জানুয়ারি) সকালে ইরানের রাজধানী তেহরানের ইমাম খোমেনি বিমানবন্দরের পাশে ১৮০ আরোহী নিয়ে বিধ্বস্ত হয় ইউক্রেনের বিমানটি। শুরুতে এটিকে নিছক দুর্ঘটনা বলে মনে হয়। তবে সোলাইমানি হত্যার জেরে মধ্যপ্রাচ্যে চলমান অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতে এই বিমান বিধ্বস্তের বিষয়টিকে দুর্ঘটনা বলে মানতে অসম্মতি জানান অনেক কূটনীতিক।
এমন অবস্থায় বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) রাতে ওই বিমান বিধ্বস্তের একটি ভিডিও প্রকাশ করে যুক্তরাষ্ট্র। ওই ভিডিওতে কোনো একটা বস্তুর আঘাতে বিমানটিতে আগুন ধরে যেতে দেখা যায়। আর কিছুক্ষণ পরই প্রচণ্ড শব্দে এটি বিস্ফোরিত হয়। মার্কিনিদের দাবি, যে বস্তুর আঘাতে বিমানটিতে আগুন ধরে যায় সেটি হলো একটি ক্ষেপণাস্ত্র।
এ দিকে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো বলেছেন, আমি বেশ কিছু গোয়েন্দা সংস্থার তথ্য হাতে পেয়েছি। এসব তথ্য অনুযায়ী, ইরানি ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতেই বিমানটি বিধ্বস্ত হয়েছে।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনসহ আরও অনেক পশ্চিমা নেতা ট্রুডোর এ ধরনের মন্তব্যকে সমর্থন করেছেন। জনসন জানিয়েছেন, ক্ষেপণাস্ত্র হামলার সমর্থনে তাদের কাছে পর্যাপ্ত তথ্যপ্রমাণ রয়েছে।
আরও পড়ুন- ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতেই বিধ্বস্ত হয়েছে ইউক্রেনের বিমানটি!
এসব বিতর্কিত মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় ইরান সরকারের মুখপাত্র আলী রাবাই বলেছেন, এসব প্রতিবেদন ইরানের বিরুদ্ধে মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধ। এগুলোর কোনো ভিত্তি নেই। যেসব দেশের নাগরিক এই দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন, তারা নিজেদের প্রতিনিধি পাঠাতে পারেন। আমরা বিমানের ব্ল্যাকবক্স তদন্ত প্রক্রিয়ায় যোগ দিতে বিমান নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বোয়িংকে আহ্বান জানিয়েছি।
ওডি/এসসা
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: inbox.odhikar@gmail.com
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড