বশেমুরবিপ্রবি প্রতিনিধি
মেধা ও মনন চর্চায় একদল তরুণের সংগঠন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বশেমুরবিপ্রবি) ডিবেটিং সোসাইটির অফিস রুম ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। এবিষয়ে শুক্রবার (১৫ই মার্চ) সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের বিরুদ্ধে রুম দখল ও আসবাবপত্র ভাঙচুরের অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করে সংগঠনটি।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির পাশে অবস্থিত ডিবেটিং সোসাইটির কার্যালয়ের সামনে আসবাবপত্র ভাঙচুরসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র এলোমেলো অবস্থায় ফেলানো রয়েছে। এছাড়াও ডিবেটিং সোসাইটির অর্জিত জাতীয় পর্যায়ের ক্রেস্টসমুহও খুঁজে পাওয়া যায়নি।
ডিবেটিং সোসাইটির সদস্যরা জানান, আইন বিভাগ একাডেমিক ভবনের সপ্তম তলায় চলে যাওয়ার পর তারা দীর্ঘদিন ধরে রুমটি ডিবেটিং সোসাইটির কাজে ব্যবহার করে আসছে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন বিনা নোটিশে রুমটি সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ল্যাব রুমের জন্য বরাদ্দ দেয়। ফলে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং এর শিক্ষার্থীরা রুম দখলের জন্য তালা ভেঙে রুমের আসবাবপত্র ভাঙচুর ও গুরুত্বপূর্ণ নথি বাইরে বের করে দেয়।
এ বিষয়ে ডিবেটিং সোসাইটির সভাপতি অনিক চৌধুরী তপু বলেন, “বিতর্কচর্চার মাধ্যমে যুক্তবোধ তৈরি করে ক্যাম্পাসে একটি পরমতসহিষ্ণু ও মননশীল সমাজ তৈরির লক্ষে বশেমুরবিপ্রবি ডিবেটিং সোসাইটি ২০১৮ সাল থেকে ক্যাম্পাসে কাজ করে চলেছে। ক্যাম্পাসে বিভিন্ন কার্যক্রমের পাশাপাশি জাতীয় পর্যায়ে ডিবেটিং সোসাইটি ধারাবাহিকভাবে সফলতার সাথে বিশ্ববিদ্যালয়কে প্রতিনিধিত্ব করে আসছে। কোন ধরনের পূর্বঘোষণা ছাড়া ডিবেটিং সোসাইটি এর ব্যবহৃত কক্ষ ভাঙ্গচুর, লুটপাট ও দখল নেয়ার চেষ্টা করা সন্ত্রাসী কার্যক্রম ব্যতীত কিছুই না। এতে ডিবেটিং সোসাইটির সম্পত্তির (অর্জিত ট্রফি, তহবিলের নগদ অর্থ, নিজস্ব লাইব্রেরির বই) এর বিপুল পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে। তাই আমাদের প্রশাসনের নিকট এইরকম সন্ত্রাসী কার্যকলাপের সুষ্ঠু তদন্তসাপেক্ষে জড়িতদের শাস্তি প্রদানের জোর দাবি জানাচ্ছি।”
সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুর রহমান মুগ্ধ বলেন, “খুবই সূক্ষ্ম চিন্তার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মুখোমুখি অবস্থান তৈরির জন্যই এই পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। পর্দার আড়ালে মুখোশধারী এই লোকটার মুখোশ উন্মোচন জরুরী। বিনা নোটিশে একটা রুমের সকল জিনিসপত্র বাইরে ফেলে দেয়া কোনো সুস্থ মস্তিষ্কের কাজ হতে পারে। এর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না হলে পিশাচেরা আরও জেগে উঠবে, সংগঠনগুলো আস্তে আস্তে তার কার্যকারিতা হারাবে।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দায়িত্বরত সভাপতি ড. মো. কামরুজ্জামান বলেন, “আমি ঢাকায় থাকার কারনে সহকারী প্রক্টর অফিসে লোক পাঠিয়েছি বিস্তারিত জানার জন্য। সোমবারে অফিসে এসে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: inbox.odhikar@gmail.com
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড