কুবি প্রতিনিধি
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) যথাযথ মর্যাদায় পালিত হয়েছে ৫২ তম মহান স্বাধীনতা দিবস। দিবসটি উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সদস্যরা শহীদ মিনারে ও বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যে ফুল দিয়ে মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানায়।
রবিবার (২৬ মার্চ) সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈনের নেতেৃত্বে প্রশাসনিক ভবনের সামনে থেকে র্যালি শুরু হয়ে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গিয়ে শেষ হয়। উপাচার্যের নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয় পরিবাররের পক্ষ থেকে পুস্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের কর্মসূচি শুরু হয়। এরপর বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি, বঙ্গবন্ধু পরিষদ, কর্মকর্তা পরিষদ, বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলো, বিভাগসমূহ , সাংবাদিক সমিতি, শাখা ছাত্রলীগসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানায়। পরে বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের পক্ষ থেকে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্যে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়।
পরে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির বলেন, বঙ্গবন্ধু ছিলেন নিপীড়িত মানুষের বন্ধু। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্ব ১৯৭১ সালে যে বাংলাদেশ সৃষ্টি হয়েছিল তা স্মরণ করার জন্য স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করি। বঙ্গবন্ধু, শেখ হাসিনা যদি হয় আমাদের ঐক্যের প্রতীক, তাহলে সেখানে আমাদের এত বিভেদ কেন? আমাদের বিভেদ ভুলে সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয় নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে।
এ সময় উপাচার্য ড. এ এফ এম আবদুল মঈন বলেন, স্বাধীনতার ৫২ বছর পেরোলেও আমরা এই স্বাধীনতাকে বুকে ধারণ করি না। আমরা দেখি আমাদের মাঝে হানাহানি বিভেদ, যার কারণ আমি মনে করি আমরা বঙ্গবন্ধুর আদর্শ, দেশের আদর্শ, স্বাধীনতাকে বিশ্বাস না করা। আমাদের সবাইকে দেশের সার্থে, স্বাধীনতার স্বার্থে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে এবং বঙ্গবন্ধুর দেশত্মাবোধ ও চেতনায় জাগ্রত হয়ে আমাদের সামনে এগিয়ে যেতে হবে।
এদিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাষ্কর্যে ফুল দেয়াকে কেন্দ্র করে শাখা ছাত্রলীগের ক্যাম্পাস গ্রুপের সাথে বাগবিতণ্ডায় জড়িয়েছেন রেজা-ই-এলাহী সমর্থিত আরেকটি পক্ষ। এ সময় ক্যাম্পাস গ্রুপের সদস্যরা ফুল দেয়ার পর পুনরায় হলের পক্ষ থেকে ফুল দিতে গেলে রেজা-ই-এলাহী সমর্থিত নেতাকর্মীরা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার পক্ষ থেকে ফুল দেয়ার চেষ্টা করেন। পরে উভয় পক্ষ বাগবিতণ্ডায় জড়ান। এরপর একপক্ষ আরেকপক্ষের দিকে তেড়ে আসলে প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেন।
পরে দুইপক্ষ অবস্থান নেয়ার পরে বঙ্গবন্ধু ভাষ্কর্যের সামনে এক পক্ষের নেতা কাজী নজরুল ইসলাম হলের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মো. আহসানুল হক শিপন হল সভাপতি পলাশকে উদ্ধৃতি করে উচ্চবাচ্য করেন। পরে হল সভাপতি নাজমুল হাসান পলাশ বাহিরের গ্রুপকে 'হাত পা কেটে ফেলবো' 'ভেঙে ফেলবো' সহ বিভিন্ন ভাবে হুমকি দিতে দেখা যায়।
এ সময় ভিসি অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন উপস্থিত হয়ে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের বলেন, আমি চাইনা ছাত্রলীগের কারণে স্বাধীনতা দিবসের এই অনুষ্ঠান পণ্ড হোক। তোমরা যে ঝামেলা করবা তাকেই আমি বহিষ্কার করবো।
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: inbox.odhikar@gmail.com
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড