• সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩১ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

কক্সবাজারে হচ্ছে দেশের তৃতীয় ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল 

  অর্থ-বাণিজ্য ডেস্ক

১৪ জুন ২০২৩, ১৫:১০
কক্সবাজারে হচ্ছে দেশের তৃতীয় ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল 
ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল (ফাইল ছবি)

কক্সবাজারের মহেশখালীতে তৃতীয় ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল (এফএসআরইউ) স্থাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এ টার্মিনালের সক্ষমতা হবে ৬০০ এমএমসিএফ।

ভাসমান এলএনজি টার্মিনালটি স্থাপনের লক্ষ্যে সামিট অয়েল অ্যান্ড শিপিং কোম্পানি লিমিটেডের প্রস্তাব নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি।

আজ বুধবার (১৪ জুন) অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভা শেষে সভার সিদ্ধান্ত জানান মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সাঈদ মাহবুব খান।

সাংবাদিকদের তিনি বলেছেন, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের অধীন পেট্রোবাংলা কর্তৃক কক্সবাজারের মহেশখালীতে দৈনিক ৬০০ এমএমসিএফ ক্ষমতাসম্পন্ন তৃতীয় ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল স্থাপনের জন্য সামিট অয়েল অ্যান্ড শিপিং কোম্পানি লিমিটেডের প্রস্তাব নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

দেশে বর্তমানে দুটি এলএনজি টার্মিনাল রয়েছে। মহেশখালীতে প্রতিদিন ৫০০ মিলিয়ন ঘনফুট সক্ষমতার এ দুটি টার্মিনাল নির্মাণ করে ইউএসএ-এর এক্সেলরেট এনার্জি এবং সামিট গ্রুপ।

এর মধ্যে মহেশখালীতে ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণে ২০১৬ সালের ১৮ জুলাই পেট্রোবাংলার সঙ্গে চুক্তি করে এক্সিলারেট এনার্জি। নির্মাণ শেষে ২০১৮ সালের ১৯ আগস্ট গ্যাস সরবরাহ শুরু করে কোম্পানিটি। ১৫ বছর মেয়াদি এ টার্মিনাল দিয়ে গ্যাস সরবরাহের চুক্তি রয়েছে ২০৩২ সাল পর্যন্ত। তবে এরই মধ্যে এ টার্মিনাল চুক্তির মেয়াদ ২০৩৮ সাল পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।

একই প্রযুক্তি মেনে মহেশখালীতে ভাসমান স্থানীয় জ্বালানি খাতের কোম্পানি সামিট গ্রুপ এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণে ২০১৭ সালের ২০ এপ্রিল চুক্তি সই করে। এরপর ২০১৯ সালের ৩০ এপ্রিল গ্যাস সরবরাহ শুরু করে কোম্পানিটি। এ টার্মিনালের মেয়াদ রয়েছে ২০৩৩ সাল পর্যন্ত।

এ দিকে ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে ভাসমান দুটি এলএনজি টার্মিনালের সরবরাহ সাময়িক বন্ধ রাখা হয়। অবশ্য গত মাসের শেষ দিকে টার্মিনাল দুটি পূর্ণমাত্রায় গ্যাস সরবরাহ শুরু করেছে। কক্সবাজারের মহেশখালী উপকূলে স্থাপিত এ দুটি ভাসমান এলএনজি টার্মিনালের সরবরাহ সক্ষমতা মোট ১ হাজার (৫০০+৫০০) এমএমসিএফডি।

জ্বালানির আন্তর্জাতিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান ‘ইনস্টিটিউট ফর এনার্জি ইকোনমিকস অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল অ্যানালাইসিস’ (আইইইএফএ) বলছে, উচ্চমূল্যের কারণে এলএনজি অবকাঠামো ব্যবহারে এশিয়ার সবচেয়ে নিম্ন অবস্থানে বাংলাদেশ।

সংস্থাটি যুক্তরাজ্যভিত্তিক তথ্য সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান ‘আইএইচএস মার্কিটে’র ২০২২ সালে প্রকাশিত তৃতীয় প্রান্তিকে এলএনজি অবকাঠামো ব্যবহারের একটি পরিসংখ্যান তুলে ধরেছে। সেখানে চীন, ভারত, পাকিস্তান ও বাংলাদেশের ২০২১ ও ২০২২ সালের এলএনজি টার্মিনাল ব্যবহারের চিত্র তুলে ধরা হয়। তাতে দেখা গেছে, ২০২১ সালের তুলনায় ২০২২ সালে বাংলাদেশ এলএনজি টার্মিনাল সক্ষমতার ৫০ শতাংশই ব্যবহার করতে পারেনি।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: inbox.odhikar@gmail.com

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড