রয়েল আহমেদ, শৈলকুপা (ঝিনাইদহ):
ঝিনাইদহের শৈলকুপার ভাটই বাজারে বিপিডিসি হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের আড়ালে চলছে নারী দিয়ে অনৈতিক কর্মকান্ডের অভিযোগ। ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নেই কোনো লাইসেন্স,দীর্ঘদিন ধরে প্রতিষ্ঠানের মালিক পল্লী চিকিৎসক জুইস নারী দিয়ে দেহ ব্যবসা চালিয়ে আসছে বলে দাবি এলাকাবাসীর। স্বাস্থ্য সেবা প্রতিষ্ঠানের আড়ালে এসব অনৈতিক কর্মকান্ডে ফুঁসে ওঠেছে এলাকাবাসী ও সচেতন সুশীল সমাজ। স্বাস্থ্য সেবার আড়ালে কিভাবে অনৈতিক কর্মকান্ড চালিয়ে আসছে বিপিডিসি কর্তৃপক্ষ তা প্রশ্ন জনমনে।
ভাটই বাজারে গড়ে ওঠা বিপিডিসি হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নেই কোন মানসম্মত চিকিৎসক, দক্ষ টেকনিশিয়ান, নার্স, আয়া বা অন্যান্য স্টাফ। চিকিৎসার নামে চলছে অপচিকিৎসা। হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে রোগী ও তাদের স্বজনদের। কিন্তু ঠিকই প্রতিনিয়তই কাড়ি কাড়ি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ভাটই বিপিডিসি হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার চালাচ্ছে জুইস নামে একজন পল্লী চিকিৎসক ও তৌফিক নামে একজন মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট দিয়ে।
পল্লী চিকিৎসক জুইস এবং মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট তৌফিকের বিষয়ে জানতে চায়লে তারা বলেন, আমরাই প্রতিষ্ঠানের মালিক।
স্থানীয় একাধিক সূত্র জানায়, চিকিৎসা সেবার নামে ভাটই বিপিডিসি হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের অভ্যন্তরে দেহব্যবসার সাথে জড়িত। কতিপয় ডায়াগনস্টিক সেন্টারের একশ্রেণীর নারীদের নাইট ডিউটির নামে রেখে তাদের দিয়ে অনৈতিক কর্মকাণ্ড চালানো হয়। কোনো কোনো ক্ষেত্রে এসব ক্লিনিকের কক্ষ ভাড়া দেয়া হয় ডেট করার জন্য। আর এভাবেই ক্লিনিক মালিক হাতিয়ে নেন টাকা। তবে বুঝার উপায় নেই এসব ক্লিনিকে এমন অনৈতিক ব্যবসা হয়।
মঙ্গলবার গভীর রাতে ডায়াগনস্টিক সেন্টারে দুজন নারী কর্মীর সাথে অনৈতিক কর্মকান্ড হচ্ছে এমন অভিযোগের ভিত্তিতে স্থানীয়রা বিপিডিসি হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে প্রবেশ করে, দুইজন নারী ও দুইজন পুরুষকে আটক করে এলাকাবাসী। পরে তাদের কাছে মেলে অনেক ধরনের যৌন উত্তেজক ঔষুধ। নরীরা এসব যৌন উত্তেজক ঔষধ সেবন করেই লিপ্ত হয় অনৈতিক কর্মকান্ডে এমনটি তারা স্বীকার করেন।
স্থানীয়রা কর্তৃপক্ষের কাছে জানতে চাইলে কর্তৃপক্ষ বিষয়টিকে অন্যদিকে প্রবাহিত করার জন্য বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে ভাটই পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ মজিবর রহমান ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। এ বিষয়ে বিপিডিসি হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জুইস জানায়, এখানে কোনো অনৈতিক কর্মকান্ড হয় না, আমাদের ডায়াগনস্টিক সেন্টারের দুইজন নারী কর্মী রাতে এখানেই আবাসিকে থাকে। গতরাতে দুইজন পুরুষ রোগী এসেছিল, স্থানীয় লোকজন এসে আমাদের মারধর করে দুইলাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। পরে স্থানীয়দের মাধ্যমে শালিস মিমাংসা করা হয়েছে।
ঝিনাইদহ সিভিল সার্জন ডাঃ শুভ্রা রাণী এ ব্যাপারে জানান, এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না। বিষয়টি আপনাদের মাধ্যমে জানলাম বিষয়টি আমি তদন্ত করে উক্ত প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: inbox.odhikar@gmail.com
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড