হুমায়ুন কবির সূর্য, কুড়িগ্রাম
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে সপ্তম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে গণধর্ষণের ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। পুলিশ ভিকটিম স্কুল শিক্ষার্থীকে রবিবার রাতে উদ্ধার করে সোমরার বিকালে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে।
মামলা সুত্রে জানা যায়, উপজেলার বিলুপ্ত ছিটমহল দাসিয়ার ছড়ার সমন্বয়টারী গ্রামের মোশাররফ হোসেন স্ত্রীসহ ঢাকার ইট ভাটায় কাজ করতে যান। এসময় তালুকদার পাড়া গ্রামে নানা আবুবক্কর সিদ্দিকের বাড়িতে মেয়েকে রেখে যান।
গত শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় মেয়েটি বাইসাইকেলযোগে ঔষধ কেনার জন্য পাশ্ববর্তী টনকার মোড় বাজারে যায়। ঔষধ কিনে বাড়ি ফেরার পথে একাকী পেয়ে দাসিয়ার ছড়া রাসমেলা গ্রামের আলম মিয়ার ছেলে সোহাগ (১৮), একই গ্রামের রফিকুল ইসলাম অপুর ছেলে ময়নুল ইসলাম (২২) ও মজিদুল ইসলামের ছেলে মিজানুর রহমান (২৩) মেয়েটির মুখ চেপে ধরে রাসমেলা নদীর পাড়ে নিয়ে গিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। কিছুক্ষণ পর ওই পথ দিয়ে চলাচলকারী পথচারীরা রাস্তার ধারে বাইসাইকেল পরে থাকতে দেখে এদিক সেদিক খোঁজাখুঁজি করলে নদীর ধারে ওই তিনজনকে দেখতে পায়। লোকজনের চিৎকারে ধর্ষকরা দৌড়ে পালিয়ে যায়।
এ সময় স্থানীয়রা ধাওয়া করে তাদের সনাক্ত করে। পরে মেয়েটিকে অসুস্থ্য অবস্থায় উদ্ধার করে তার নানীর বাড়িতে পৌঁছে দেয়।
এ ঘটনার পর আপোষ মীমাংসার জন্য স্থানীয় মাতব্বররা রবিবার সারাদিন ওই পরিবারের উপর চাপ প্রয়োগ করে ব্যর্থ হয়।
সোমবার সকালে ঢাকা থেকে বাড়িতে ফেরেন মোশারফ হোসেন। পরে তিনি বাদী হয়ে ৩ জনকে আসামী করে সোমবার ১২ ফেব্রুয়ারি বিকালে ফুলবাড়ী থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।
মেয়েটির বাবা বলেন, তিন নরপশু মিলে আমার মেয়েটার সর্বনাশ করেছে। আমি ধর্ষকদের উপযুক্ত শাস্তি চাই।
ফুলবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ প্রাণকৃষ্ণ দেবনাথ জানান, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। আসামী গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। ভিকটিমের ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য তাকে কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: inbox.odhikar@gmail.com
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড