• সোমবার, ০২ অক্টোবর ২০২৩, ১৮ আশ্বিন ১৪৩০  |   ৩০ °সে
  • বেটা ভার্সন

সর্বশেষ :

sonargao

মেয়ের ছবি তোলায় শিক্ষার্থীদের মল-মূত্র খাওয়ালেন শিক্ষিকা

  কাজী শাহরিয়ার রুবেল, আমতলী (বরগুনা)

০৬ জুন ২০২৩, ১৭:০৪
মেয়ের ছবি তোলায় শিক্ষার্থীদের মল-মূত্র খাওয়ালেন শিক্ষিকা

বরগুনার আমতলী উপজেলায় স্মার্টফোনে ছবি ধারণের অপবাদে মাদরাসা শিক্ষার্থীদের মল-মূত্র খাওয়ানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত শুক্রবার ঘটনাটি ঘটেছে বলে তথ্য পাওয়া গেছে।

এ ঘটনায় শিক্ষিকা তাসলিমা বেগমসহ চারজনের বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।

ঘটনা সূত্রে জানা যায়, পৌর এলাকার ৩নং ওয়ার্ডের মাদানীনগর জামিয়া সাইয়েদা ফাতিমা বালিকা হাফিজিয়া মাদরাসায় জামিলা, জান্নাতুল ফেরদৌসি, মারিয়া ইসলাম, রুবাইয়া, সাদিয়া, মারহামা, মারুফা, নুসাইবা নাজরানা বিভাগে পড়াশুনা করেন। মাদরাসার শিক্ষিকা তাসলিমা বেগমের মেয়ে নুসরাত নাজরানা বিভাগের শিক্ষার্থী জান্নাতুল ফেরদৌসির স্মার্ট ফোনে তার ছবি তোলার অভিযোগ করেন। এতে তাসলিমা বেগম ক্ষিপ্ত হয়ে তার স্বামী আ. রশীদ, ছেলে তাইয়েবা ও নুসরাত একত্রিত হয়ে নাজরানা বিভাগের সব শিক্ষার্থীকে মারধর করেন।

তাছাড়া জোরপূর্বক মলমূত্র, ড্রেনের নোংরা পানি, হাঁসের বিষ্ঠা একটি বালতিতে মিশিয়ে খাওয়ানোর অভিযোগ রয়েছে। ফলে নাজরানা বিভাগের ১০ শিক্ষার্থী গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাছাড়া শিক্ষিকা ঐ শিক্ষার্থীদের মাদরাসা থেকে ভর্তি বাতিল করে দেয়।

শিক্ষার্থীরা বাড়িতে ফিরে অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরবর্তীকালে তাড়া বিষয়টি অভিভাবকদের জানান। অভিভাবকরা অসুস্থ শিক্ষার্থীদের আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যান।

এ ঘটনার বিচার দাবি করে অভিভাবক আ. খালেক আকন শিক্ষিকা তাসলিমা বেগমসহ তার পরিবারের বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন।

অসুস্থ শিক্ষার্থীরা বলেছেন, আমরা কোনো ধরনের ছবি ধারণ করিনি। মিথ্যা অপবাদে আমাদের সাথে এমনটি করা হয়েছে। আমরা এমন ন্যক্কারজনক ঘটনার উপযুক্ত বিচার দাবি করছি।

এ বিষয়ে অসুস্থ শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা বলেন, ওরা প্রত্যেকেই শিশু। শিক্ষিকা যেখানে মানুষ গড়ার কারিগর, সেখানে এমনটা সত্যিই লজ্জাজনক। আমরা এই জঘন্যতম ঘটনার ন্যায্য বিচার চাই।

মাদরাসা প্রতিষ্ঠাতা মাওলানা আব্দুর রশীদ জানান, মল-মূত্র খাওয়ানোর বিষয়টি সত্য। স্মার্টফোনে আমার মেয়ের ছবি তোলার জন্য তাদের বিচার করা হয়েছে। পাশাপাশি ঐ শিক্ষার্থীদের মাদরাসা থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ আশরাফুল আলম বলেন, অভিযোগ পেয়েছি, ঘটনাটি তদন্ত করা হবে। তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি দৈনিক অধিকারকে জানাতে ই-মেইল করুন- inbox.odhikar@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: inbox.odhikar@gmail.com

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড