মোহাম্মদ আবদুর রহিম, বান্দরবান
বাংলাদেশ সেনাপ্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, পাহাড়ে সেনাবাহিনীর বিশেষ অভিযানে কেএনএফের মূল প্রশিক্ষণ ক্যাম্প ও মূল ঘাটিগুলো নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে সেনাবাহিনীর সদস্যরা। এতেকরে অচিরেই সন্ত্রাসীরা নির্মূল হয়ে যাবে।
আজ রবিবার (৪ জুন) বান্দরবান সেনা জোন সদরে সাংবাদিকদের প্রেস বিফ্রিংকালে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় সেনাপ্রধান বলেন, যদি সন্ত্রাসীরা স্বেচ্ছায় আত্মসমর্পণ করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে চায়, তবে তাদের স্বাগত জানানো হবে। অন্যথায় কঠোর হাতে তাদের দমন করা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- সেনাবাহিনীর চিফ অব জেনারেল স্টাফ (সিজিএস) লেফটেন্যান্ট জেনারেল আতাউল হাকিম সারওয়ার হাসান, জেনারেল অফিসার কমান্ডিং ২৪ পদাতিক ডিভিশন ও এরিয়া কমান্ডার চট্টগ্রাম এরিয়া মেজর জেনারেল মিজানুর রহমান শামীম, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (ডিজি বিজিবি) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল এ কে এম নাজমুল হাসান এবং রামুর জিওসি মেজর জেনারেল মাসুদুর রহমান প্রমুখ।
উল্লেখ্য, গত ২০২২ সালের মে ও জুন মাস থেকে রাঙ্গামাটি জেলার বিলাইছড়ি উপজেলার বড়থলি ইউনিয়ন এবং বান্দরবানের রুমা, রোয়াংছড়ি ও থানচি উপজেলার দুর্গম এলাকায় তৎপরতা শুরু করে সশস্ত্র সন্ত্রাসী সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট কেএনএফ।
তারা বম, পাংখুয়া, লুসাই, খুমি, খেয়াং ও ম্রো এই ছয়টি জনগোষ্ঠীর অধিকারের জন্য সশস্ত্র আন্দোলন করছে দাবি করলেও বিভিন্ন সময়ে হত্যাকাণ্ড চালিয়ে আসছে। সংগঠনটির গোপন আস্তানায় জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বিয়ার জঙ্গিদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার অভিযোগের ভিত্তিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী গত (৩ অক্টোবর) থেকে ওই এলাকায় অভিযান শুরু করে।
চলমান এ অভিযানে সেনাবাহিনীর একজন অফিসারসহ এ পর্যন্ত মোট চারজন সেনা সদস্য নিহত হয়েছেন। এখনো বান্দরবানের গহীন অরণ্যে সেনাবাহিনীর অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: inbox.odhikar@gmail.com
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড