গরমে তৃষ্ণার্তদের মাটির কলসি থেকে পানি পান করাচ্ছেন তারা

গরমে আরাম দিতে মাটির কলসির পানি তৃষ্ণার্তদের বিনা মূল্যে পানি পান করাচ্ছেন সিরাজগঞ্জের তিনটি সামাজিক সংগঠনের স্বেচ্ছাসেবীরা।

আয়োজক সংগঠনের সমন্বয়ক মঞ্জুরুল আলম রুবেল বলেন, নলকূপ থেকে ঠাণ্ডা পানি সংগ্রহ করে এই পানিকে ঠাণ্ডা রাখার জন্য মাটির কলসি ব্যবহার করা হয়েছে। সেই পানি আরও সুপেয় করতে এর সঙ্গে লেবু ও সামান্য পরিমাণ চিনি মেশানো হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, গতকাল শনিবার প্রথম দিনেই এক হাজার ৭০০ গ্লাস পানি পান করিয়েছি। তবে মানুষের সাড়া দেখে আমরা মুগ্ধ। এ উদ্যোগ এক সপ্তাহ চলবে।

প্রচণ্ড গরমে খেটে খাওয়া প্রান্তিক মানুষের দুর্দশার কথা ভেবে মাটির কলসি থেকে ঠাণ্ডা পানি তৃষ্ণার্তদের বিনা মূল্যে পান করাচ্ছেন সিরাজগঞ্জের তিনটি সামাজিক সংগঠনের স্বেচ্ছাসেবীরা।

সিরাজগঞ্জ পৌর শহরের মোক্তারপাড়া মোড় এলাকায় আজ রবিবার সকাল ৮টা থেকে এ কার্যক্রম দেখা যায়।

জেলার অরুণ ফাউন্ডেশন, সিরাজগঞ্জের ফারাজ আইয়াজ স্মৃতি পরিষদ ও সুধা ফাউন্ডেশন যৌথভাবে এ কার্যক্রম পরিচালনা করছে।

রবিবার সকাল ৮টা থেকে পৌর শহরের মোক্তারপাড়া মোড়ে একটি মাটির কলসি ও বালতিতে পানি নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন কয়েকজন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও স্বেচ্ছাসেবক। তৃষ্ণার্ত কেউ সেখানে এলেই স্বেচ্ছাসেবকরা কলসি থেকে গ্লাসে পানি তুলে তা পরিবেশন করছেন।

আয়োজক সংগঠনের সমন্বয়ক মঞ্জুরুল আলম রুবেল বলেন, নলকূপ থেকে ঠাণ্ডা পানি সংগ্রহ করে এই পানিকে ঠাণ্ডা রাখার জন্য মাটির কলসি ব্যবহার করা হয়েছে। সেই পানি আরও সুপেয় করতে এর সঙ্গে লেবু ও সামান্য পরিমাণ চিনি মেশানো হয়েছে। শনিবার প্রথম দিনেই এক হাজার ৭০০ গ্লাস পানি পান করিয়েছি। তবে মানুষের সাড়া দেখে আমরা মুগ্ধ। এ উদ্যোগ এক সপ্তাহ চলবে।

শহরের রিকশাচালক বেলাল হোসেন বলেন, এত গরম পড়েছে যে একটু কাজ করলেই পানির তৃষ্ণা পায়। বিনা পয়সায় পানি পানের ব্যবস্থা দেখে আমি এক গ্লাস পানি পান করে নিলাম।

পথচারী রফিকুল ইসলাম বলেন, এমন গরমে বিনা পয়সায় বিতরণ করা শরবত পানি খেয়ে খুবই ভালো লাগছে। এই কাজ সব জায়গাতে করা উচিত।

এই পানি বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট বিমল চন্দ্র সরকার, বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. জহুরুল হক রাজা, বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুল হক, আয়োজক সংগঠনের আরেক সমন্বয়ক প্রদীপ সাহাসহ আরও অনেকে।