এম এ মোতালিব ভুঁইয়া, দোয়ারাবাজার (সুনামগঞ্জ)
সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারে কর্তৃপক্ষের অবহেলা ও উদাসীনতা কারণে মুদি দোকানে দীর্ঘদিন যাবত বিক্রি হচ্ছে সার ও কীটনাশক। স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছে শিশুসহ এলাকার সাধারণ জনগণ। দীর্ঘদিন এ ব্যবসা করলেও কর্তৃপক্ষের নীরব ভূমিকা দেখে এলাকাবাসী হতবাক!
সরেজমিনে উপজেলার বোগলাবাজারর গিয়ে দেখা যায়- মুদি মনোহরিসহ শিশুদের বিভিন্ন ধরনের খাবার রয়েছে। এসব খাবারের সাথে দোকানের গ্যালারিতে সাজানো রয়েছে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন কৃষি কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন প্রকার সার ও কীটনাশক, দোকানের সামনেই পরিত্যক্ত অবস্থায় রয়েছে সার।
বোগলাবাজারের ব্যবসায়ী মেসার্স ফাতেমা ষ্টোরের স্বত্বাধিকারী মো. হুমায়ুন কবিরের কাছে দীর্ঘদিন দোকানে মুদি-মনোহরিসহ শিশুদের বিভিন্ন ধরনের খাবারের সাথে সার ও কীটনাশক বিক্রির কথা জানতে চাইলে, তিনি অকপটে কীটনাশক বিক্রির কথা স্বীকার করেন।
এই দোকানি বলেন- কীটনাশক বিক্রি করার লাইসেন্স আছে!
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বোগলাবাজারের একাধিক ব্যবসায়ী জানান, কীটনাশক বিক্রির জন্য কিছু শর্ত সাপেক্ষে কীটনাশক বিক্রির লাইসেন্স দেওয়া হয়। আর এখানে আইনের তোয়াক্কা না করে অবৈধভাবে লাইসেন্স প্রদান করে মুদি দোকানে সার ও কীটনাশক বিক্রি করছে।
যেখানে মানুষের খাবার আছে সে সব দোকানে কোনো ধরনের সার ও কীটনাশক বিক্রি করার কোনো সুযোগ নেই। এখানে লাইসেন্স দেওয়ার কোনো বিধান নেই। যারা এই প্রক্রিয়ার সাথে জড়িত তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ, সার ও কীটনাশক দোকানের লাইসেন্স বাতিল করতে, প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছে সচেতন মহল।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শেখ মোহাম্মদ মহসিন বলেন, বিষটি আমার জানা নেই; তবে দ্রুত খোঁজখবর নিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: inbox.odhikar@gmail.com
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড