• শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩৩ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধিতে সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস

  কে এম রেজাউল করিম, দেবহাটা (সাতক্ষীরা)

২৮ মার্চ ২০২৩, ১৪:৩০
নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধিতে সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস

সিয়াম সাধনার মাস রমজান। মহান আল্লাহ মালিকের নৈকট্য লাভের জন্য সমস্ত মুসলিম জাতি রমজান মাসে বিভিন্ন ইবাদত বন্দেগীতে ব্যস্ত থাকেন। রমজান মানে হলো সকল পাপ, অনাচার, মনের কলুষিত ভাবসহ সকল খারাপ কাজ থেকে বিরত থাকা।

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পবিত্র এই মাসে সকল মুসলিমদেরকে ভালভাবে রোজা পালনের জন্য প্রত্যেক নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম কমানোর প্রতিযোগিতা হয়, সেখানে আমাদের দেশে রমজান মাসকে ঘিরে ব্যবসায়ীরা অধিক মুনাফা লাভের প্রতিযোগিতায় নামেন। রমজানের শুরুতে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম যে লাগামছাড়া পর্যায়ে গিয়েছে তাতে সাধারণ মানুষের দুবেলা দুমুঠো খেয়ে রোজা রেখে বেচে থাকাটা কঠিন হয়ে পড়েছে।

রমজান মাসকে নিয়ে কলা, পাটালী, গুড়, খেজুর, তরমুজ, শসা, খিরাই, ছোলা, মাছ, মাংস, দুধ ও ডিমসহ বিভিন্ন পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধিতে ক্রেতাদের হাত উঠেছে মাথায়। সংসার নির্বাহ নিয়ে মানুষের কপালে পড়ছে চিন্তার ভাজ।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে- ৫০ টাকার চাঁপাকলা ৮০ টাকা, ৩০ টাকার সাগরকলা ৬০ টাকা, ২০ টাকার তরমুজ ৩০ টাকা, ১২০ টাকার আখের গুড় ১৬০ টাকা, ১২০ টাকার পাটালী ১৪০ টাকা, ৭০ টাকার ছোলা ৮৫ টাকা, ৪০ টাকার দুধ ৫০ টাকা, ৩০ টাকার শসা ৬০ টাকা, ২৫ টাকার খিরাই ৫০ টাকা, ৬৫০ টাকার গরুর মাংস ৭০০ টাকা, ৩০০ টাকার কাটা পোল্ট্রি ৩২০ টাকা, ১১০০ টাকার খাসির মাংস ১২০০ টাকা, খেজুর ৩০০ থেকে ২০০০ টাকা, বেগুন ৬০ টাকা, পটল ৬০ টাকা, আলু ২২ টাকা, পেয়াজ ৪০ টাকা, রসুন ১০০ টাকা, কাচাঝাল ৮০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৩০ টাকা দরে বিক্রয় করা হচ্ছে।

মাছের বাজার দৈনিক উঠানামা করছে। চিংড়ি মাছ সাড়ে ৬শত থেকে ৭শত আর বাগদা শ্রেণি ভেদে ৮০০ থেকে বিভিন্ন দামে বিক্রয় হচ্ছে। বাজারের দোকানে বিক্রয় তালিকা নেই।

দেবহাটা উপজেলার কুলিয়া, পারুলিয়া, ঈদগাহ বাজার, সখিপুর, গাজীরহাট বা উপজেলা সদরের বাজার তদরকী করা হচ্ছে না। এক শ্রেণির ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট রমজান মাসে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধি করছে। দিনমজুররা কর্মহীন হয়ে পড়েছে।

দ্রব্য মূল্যের ঊর্ধ্বগতি সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে যাচ্ছে। কৃষক পরিবারে কর্তাদের হাতে নগদ টাকা নেই। অভাব অনটনের মধ্যে রোজাদার দিন কাটাচ্ছে। দিন মজুররা বেকার হয়ে পড়েছে। ইরি বোরো ধানের চাষ আবাদে মোটা অংকের টাকা ব্যয় করার কারণে অনেকের এখন হস্ত মজুদ শূন্য।

এমন পরিস্থিতিতে বাজার তদারকি টিমের দেখা পাচ্ছে না ক্রেতারা। ফলে মধ্যসত্বভোগী মুনাফাখোর ব্যবসায়ীরা ফুলে ফেঁপে বাজার দাপাচ্ছে। সাধারণ ক্রেতারা ব্যবসায়ীদের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে। কেউ কি আছেন বাজার মনিটরিং করার দায়িত্বে? যদি কেউ এ দায়িত্বে থেকে থাকেন তাহলে সাড়া দিবেন কী? দাবি ক্রেতাদের।

এ বিষয়ে দেবহাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবিএম খালিদ হোসেন সিদ্দিকী রমজানের শুরুতে মসজিদে নামাজের সময় ও বিভিন্ন স্থানে সাধারণ মানুষ ও বিক্রেতাদের নিত্যপণ্যের মূল্য রমজানে যাতে কেউ না বাড়াতে পারে সে জন্য সতর্ক করে দিয়েছেন। তিনি বিভিন্ন বাজারে তদারকির মাধ্যমে যদি কেউ বেশি দামে মালামাল বিক্রয় করে তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান।

আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি দৈনিক অধিকারকে জানাতে ই-মেইল করুন- inbox.odhikar@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: inbox.odhikar@gmail.com

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড