সুন্দরী হাসিনার পরকীয়ায় সর্বস্বান্ত প্রবাসী জসীম

কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড কঁচুবনিয়া গ্রামের এজাহার মিয়ার ছেলে মালয়েশিয়া প্রবাসী জসীম তার স্ত্রী সুন্দরী হাসিনার প্রতারণার কারণে সর্বস্ব হারিয়ে এখন সর্বহারা। নিজের স্ত্রী হাসিনা এক শিশু সন্তানের জননী হয়েও একাধিক পুরুষের সাথে পরকীয়ায় লিপ্ত হয়ে তার সোনার সংসার ভেঙে চুরমার করেছে বলে অভিযোগ তুলে মালয়েশিয়া থেকে ভিডিয়ো বার্তা পাঠান প্রবাসী জসীম।

জসীমের স্ত্রী হাসিনা টেকনাফের সাবরাং ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড ঘোলা পাড়ার বাদশা মিয়ার মেয়ে। গত ২০১৬ সালে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন পরবর্তীকালে সামাজিক ও ইসলামি শরিয়ত মোতাবেক তাদের বিয়ে হয়। বিয়ের দুই বছরের মাথায় তাদের সংসারে ফুটফুটে একটি কন্যা সন্তান জন্ম নেয়। পরে ২০১৮ সালে জীবন জীবিকার সন্ধানে সংসারের সুখের খাতিরে সে সুদূর মালয়েশিয়া পাড়ি জমান।

প্রবাস থেকে সে প্রতিমাসে সংসারের জন্য টাকা পাঠান এবং সুখে শান্তিতে তাদের দাম্পত্য জীবন কাটে। কিন্তু কিছুদিন পর প্রবাসী স্বামী জসীমকে ধোঁকা দিয়ে এলাকার একাধিক পুরুষের সাথে অবৈধ পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে সুন্দরী হাসিনা এবং বেপরোয়াভাবে তার প্রেমের সম্পর্ক চালিয়ে যায়।

পারিবারিক সূত্রে জসীম তার স্ত্রীর এ বেপরোয়া চলাফেরার কথা জেনে তাকে নিষেধ করলে উল্টো তার কাছে ডিভোর্স চেয়ে হুমকি দিতেন।

প্রবাসী জসীম বলেন, আমি বিদেশ আসার পর যে টাকা কামাতাম সব টাকা আমার মেয়ে ও স্ত্রীর জন্য পাঠিয়ে দিতাম। সে আমার অজান্তে হারিয়া খালী গ্রামের জ্বালাল আহমদের ছেলে মোহাম্মদ রবি, কঁচুবনিয়া গ্রামের আহমদ উল্লাহর ছেলে মোহাম্মদ আবদুল্লাহ, নয়া পাড়ার দুদু মিয়ার ছেলে মোহাম্মদ ইউনুছসহ একাধিক পুরুষের সাথে অবৈধ পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে এবং আমার সুখের সংসারে অশান্তির আগুন জালিয়ে দেয়।

তিনিও আরও বলেন, আমাদের সংসারে একটি মেয়ে সন্তান থাকা স্বত্বেও আমার কথার অবাধ্য হয়ে তার প্রেমিকদের সাথে অবৈধ মেলামেশা করতে থাকে। তার এই অবৈধ সম্পর্কের প্রেমিকদের সাথে ভিডিয়ো কলে কথা বলার ফুটেজ অনেক কষ্টে সংগ্রহ করেছি তাতে নিশ্চিত হই যে সে আমার আর নেই।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে হাসিনা বলেন, আমার যে ভিডিয়ো ফুটেজগুলো পেয়েছেন তারা সবাই আমার আত্মীয়।

আত্মীয়ের সাথে এমন খোলামেলা কিভাবে আলাপ করে এমন প্রশ্নের জবাবে প্রতিবেদককে বলেন, জসীম আমাকে ঠিকমতো ভরণপোষণ দেয় না। আমি স্বাধীনভাবে চলাফেরা করতে পারি না। তার বিরুদ্ধে আমি আদালতে মামলা করেছি, তাকে বিদেশ থেকে এনে নারী নির্যাতন মামলায় জেল খাটাবো।

স্থানীয় ইউপি সদস্য আবুল ফয়াজের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। জসীম প্রবাসে থাকে এবং এই মেয়েটির চলাফেরা একটু বেপরোয়া সেটি এলাকার মানুষ থেকে শুনেছি। যদি উভয় পক্ষ আমার কাছে বিষয়টি নিয়ে আসতো আমি সমাধান করে তাদের সংসার ঠিকিয়ে রাখবার চেষ্টা করতাম। আমি ঝগড়াটে মানুষকে সেধে উপকার করতে চাই না।

প্রবাসী জসীম আরও বলেন, বিভিন্ন সময় সে আমার কাছে মোটা অংকের টাকা চেয়ে ফোন দিত এবং বলতো টাকা দিলে সে ভালো হয়ে যাবে।আমার সকল সঞ্চয় নিজের সম্মানের খাতিরে তাকে দিয়ে দিতাম।এখন আমি সর্বস্বান্ত হয়ে অপমানে কষ্টে বেচে থেকে জিন্দা লাশ হয়ে গেছি। এখন সে আমাকে দেশে আসতে দিচ্ছে না।

দেশে আসলে জেল খাটাবে বলে হুমকি দিচ্ছে। আমি এলাকার সকল জনপ্রতিনিধি ও সর্বসাধারণের কাজে এ প্রতারক হাসিনার বিচার দাবি করছি।