• বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩৭ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

রাঙামাটিতে আ. লীগ নেতাদের মধ্যে চরম ক্ষোভ-অসন্তোষ

  এম. কামাল উদ্দিন, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার (রাঙামাটি)

০৯ মার্চ ২০২৩, ১২:৪৭
রাঙামাটিতে আ. লীগ নেতাদের মধ্যে চরম ক্ষোভ-অসন্তোষ
আওয়ামী লীগের পতাকা (ফাইল ছবি)

রাঙামাটিতে আবারও সাংগঠনিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়ছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। মূলত ভেঙে পড়ছে দলটির রাঙামাটি জেলার সাংগঠনিক শক্তি। নেতৃত্বে দেখা দিয়েছে সংকট। জেলার অধিকাংশ নেতাকর্মীর মাঝে বিরাজ করছে ক্ষোভ ও অসন্তোষ। দেখা দিয়েছে বিভাজন ও অন্তর্দ্বন্দ্ব।

জেলা আওয়ামী লীগ থেকে বাদ পড়ার শঙ্কায় অনেক নেতা। দলটির রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্যচিত্র পাওয়া গেছে।

তথ্য সূত্র মতে, জেলার নতুন কমিটি গঠন নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে রাঙামাটিতে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের মাঝে মতবিরোধ ও কোন্দল চলছে। চলছে সামনের দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে রাঙামাটি আসনে মনোনয়নের দৌড়ঝাঁপ। জেলায় দলটির নতুন কমিটি থেকে সাহসী, দক্ষ, পরিক্ষিত, যোগ্য ও ত্যাগী বহু নেতার নাম বাদ দেওয়ার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত নেতৃস্থানীয় কতিপয় শীর্ষ নেতা।

এতে দলীয় রাজনীতি থেকে ছিটকে পড়ার শঙ্কায় রয়েছেন যোগ্য, ত্যাগী ও সাহসী বহু নেতা। দীর্ঘদিন ধরে জেলায় দলীয় কার্যক্রম চলছে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক- এ দুই সদস্যের কমিটি দিয়ে। যদিও ২০২২ সালের ২৪ মে অনুষ্ঠিত ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনের ১৫ দিনের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করে তা কেন্দ্রে পাঠানোর নির্দেশনা দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় নেতারা।

কিন্তু তার বিপরীতে কমিটি থেকে প্রতিপক্ষীয়দের নাম বাদ দিতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন নির্বাচিত সভাপতি ও সম্পাদকসহ তাদের অনুগত অনুসারীরা। ফলে বিলম্ব ঘটছে রাঙামাটি জেলা আওয়ামী লীগের নতুন কমিটি অনুমোদন প্রক্রিয়া।

জানা যায়, এর আগেও দলীয় কোন্দল ও মতবিরোধের কারণে জাতীয় সংসদের ২৯৯-পার্বত্য রাঙামাটি আসনে ২০০১ সালের নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী মণি স্বপন দেওয়ান এবং ২০১৪ সালের নির্বাচনে জনসংহতি সমিতির সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থী ঊষাতন তালুকদারের কাছে বিপুল ভোটে হারতে হয়েছিল আওয়ামী লীগের দীপংকর তালুকদারকে। সেই সময়কালেও জেলা কমিটি থেকে বাদ দেওয়ায় ছিটকে যেতে হয়েছিল দলটির বেশকিছু সাহসী ও ত্যাগী নেতাকে।

তথ্য মতে, তিনি স্বৈরাচার এরশাদ সরকারের পতন ও গণঅভ্যুত্থান আন্দোলনে ঝুঁকি নিয়ে সর্বাত্মক সাহসী ভূমিকা রেখেছিলেন সাবেক এক নেতা। তিনি ১৯৯০ সালে রাঙামাটি সদর উপজেলা নির্বাচনে দলের মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসাবে প্রতিদ্বন্ধিতা করেন। অথচ সেই নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছিলেন রাঙামাটির বর্তমান সংসদ সদস্য। কিন্তু এরপরও ১৯৯১, ১৯৯৬, ২০০১ ও ২০০৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে রাঙামাটিতে দলীয় প্রার্থী দীপংকর তালুকদারের পক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন সাবেক সেই নেতা।

কিন্তু দলের সাংগঠনিক স্বার্থে স্পষ্ট কিছু বলতে গিয়ে সবশেষ ২০১২ সালের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনের পর দল থেকে বাদ দেওয়ায় দলীয় রাজনীতি থেকে ছিটকে পড়তে হয়েছে তাকে। এভাবে দল থেকে ছিটকে পড়তে হয়েছে আরও অনেক ত্যাগী ও পরিক্ষিত নেতাকর্মীকে। ফলে রাঙামাটিতে দলটির সাংগঠনিক শক্তি দুর্বল হয়ে পড়ে।

দলীয় সূত্র জানায়, টানা ১০ বছর পর রাঙামাটি জেলা আওয়ামী লীগের সবশেষ ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় ২০২২ সালের ২৪ মে। তার আগের সম্মেলন হয়েছিল ২০১২ সালের ৮ ডিসেম্বর। এবার সম্মেলনে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি পদে সংসদ সদস্য দীপংকর তালুকদারের সঙ্গে প্রতিদ্বন্ধিতায় অবতীর্ণ হতে চেয়েছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি নিখিল কুমার চাকমা। দীপংকর ১৯৯৬ সাল থেকে এ পর্যন্ত একাধারে টানা সভাপতির পদটি আকলে ধরে রেখেছেন।

এবারও সবশেষ আরেক মেয়াদে থাকার সুযোগ দিতে দলের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে আকুতি জানান দীপংকর। তার আকুতিতে দীপংকরকে আরেক মেয়াদে সুযোগ দিতে নিখিল কুমারকে অনুরোধ করেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এতে নিখিল সরে যাওয়ায় বিনা প্রতিদ্বন্ধিতায় আবারও রাঙামাটি জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হন দীপংকর।

অথচ প্রতিদ্বন্ধিতা হলে কোনোমতেই আসতে পারতেন না দীপংকর। সাধারণ সম্পাদক পদে মো. কামাল উদ্দিনকে হারিয়ে আবার জয়ী হয়েছিলেন মুছা মাতব্বর। সম্মেলনকে কেন্দ্র করেই জেলা আওয়ামী লীগে বাঁধে কোন্দল। তৈরি হয় বিভাজন। বর্তমানে পালটাপালটি মুখোমুখি অবস্থানে রয়েছে জেলা আওয়ামী লীগের পরস্পর বিরোধী দুটি গ্রুপ।

জানা যায়, ২০২২ সালের ২৪ মে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসাবে শরীরে উপস্থিত থাকতে না পারলেও ভার্চুয়ালি অংশ দলটির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক সেতু ও পরিবহণ মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। এতে উদ্বোধ হিসাবে উপস্থিত ছিলেন প্রেসিডিয়াম সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশারফ হোসেন।

এছাড়া যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপনসহ অন্য কেন্দ্রীয় নেতারা বিশেষ অতিথি হিসাবে সম্মেলনে যোগ দিয়েছিলেন। উপস্থিত কেন্দ্রীয় নেতাদের উপস্থিতিতে দলীয় প্রধান শেখ হাসিনা ও সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ফোনে নির্দেশনা দিয়েছিলেন সম্মেলন পরবর্তী ১৫ দিনের মধ্যে বিজয়ী বিজিত চার সভাপতি ও সম্পাদক প্রার্থী বসে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করে তা কেন্দ্রীয় দপ্তরে পাঠানোর জন্য।

নির্দেশনায় শর্ত ছিল বিদ্যমান কমিটিতে যারা রয়েছেন, তাদেরকে সবাইকে রেখে শুধু শূন্য পদগুলোতে প্রকৃত নেতাকর্মীদের অন্তর্ভুক্ত করে পূর্ণাঙ্গ কমিটি পুনর্গঠন করতে। এতে সমম্বয়নের জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল সম্মেলনে উপস্থিত প্রেসিডিয়াম সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশারফ হোসেনকে।

কিন্তু সম্মেলন পরবর্তী সভাপতি প্রার্থী হওয়া নিখিল ও বিজিত সম্পাদক প্রার্থী কামাল উদ্দিনের অনুসারীদের বাদ দিয়ে পূর্ণাঙ্গ কমিটি তৈরিতে চলতে থাকে নানা গড়িমসি।

এ দিকে কেন্দ্রের চাপাচাপিতে দীর্ঘ ৭ মাস পর শেষ পর্যন্ত গত বছর ২০ ডিসেম্বর একতরফাভাবে একটি কমিটি বানিয়ে কেন্দ্রীয় দপ্তরে দাখিল করেন নির্বাচিত সভাপতি দীপংকর ও সম্পাদক মো. মুছা মাতব্বর।

এ কমিটিতে নিখিল ও কামালসহ দু’য়েক জনের নাম রাখলেও তাদের অনুসারী আগের বিদ্যমান কমিটির ২০ জনকে বাদ দেওয়া হয়েছে। বিপরীতে দলটির বাঘাইছড়ি উপজেলার সভাপতি বৃষ কেতু চাকমা, কাউখালী উপজেলার সভাপতি অংসুইপ্রু চৌধুরী, লংগদু উপজেলার সাধারণ সম্পাদক বাবুল দাশ বাবু, জুরাছড়ি উপজেলার সাধারণ সম্পাদক জ্ঞানেন্দু বিকাশ চাকমা, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি শাওয়াল উদ্দিন, জেলা কৃষক লীগের সভাপতি জাহিদ আক্তারসহ ইউনিয়ন, পৌর, উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন পদে থাকা এবং যারা কোনোভাবেই ইতোপূর্বে দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন না- এমন লোকদের বিভিন্ন পদবিতে আনা হয়েছে।

এতে বাদপড়া নেতাসহ নিখিল-কামাল অনুসারীদের মাঝে ক্ষোভ ও অসন্তোষ চরম আকার ধারণ করে। বিষয়টি নিয়ে বাদপড়া নেতা সবাইকে তাদের নিজ পদে বহাল রেখে এবং শূন্য পদগুলোতে প্রকৃত নেতাকর্মীদের অন্তর্ভুক্ত করে নতুন কমিটি পুনর্গঠনের দাবি জানিয়ে কেন্দ্রে আপত্তি দেন নিখিল কুমার চাকমা ও মো. কামাল উদ্দিন।

আপত্তির পরিপ্রেক্ষিতে কেন্দ্রের নির্দেশে দাখিল করা কমিটি প্রত্যাহার করে নিয়ে চলতি সালের ৪ ফেব্রুয়ারি আরেকটি কমিটি জমা দেন দীপংকর ও মুছা। কিন্তু এ কমিটিতেও বাদ দেওয়া ২০ জনের মধ্যে কাউকে রাখা হয়নি। আগের দাখিল করা কমিটির শুধু একজনকে বাদ দিয়ে তদস্থলে অন্য একজনের নাম অন্তর্ভুক্তসহ ৩ জনের পদবি রদবদল করে আবারও সেই একই কমিটি কেন্দ্রীয় দপ্তরে পাঠানো হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন দলটির নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেক নেতা।

তাদের মতে, এটা দীপংকর ও মুছার পকেট কমিটি। বিজিত সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী মো. কামাল উদ্দিন বলেন, প্রেসিডিয়াম সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশারফ হোসেন এমপির অনুরোধ সত্ত্বেও কোনো প্রকার আলাপ-আলোচনা ছাড়াই রাঙামাটি জেলা আওয়ামী লীগের ২০ জন পরীক্ষিত ও ত্যাগী নেতাকে বাদ দিয়ে এবং দলীয় রাজনীতির বাইরের লোকজন ও উপজেলা, পৌর, ইউনিয়নসহ সহযোগী সংগঠনে গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্বে থাকা বিভিন্ন পদবির নেতাদের নিয়ে সভাপতি দীপংকর তালুকদার ও সাধারণ সম্পাদক মো. মুছা মাতব্বর যৌথ স্বাক্ষরে অনুমোদনের জন্য যে জেলা কমিটি তৈরি করে কেন্দ্রীয় দপ্তরে পাঠিয়েছেন, তা কখনো মেনে নেওয়া যায় না।

বিষয়টির ব্যাপারে আমরা কেন্দ্রে যোগাযোগ করে বিস্তারিত জানিয়েছি। কথা ছিল বিগত কমিটির যারা মৃত্যুবরণ করেছেন, কেবল সেসব শূন্যপদে নতুন সদস্য অন্তর্ভুক্ত করা হবে। বিগত কমিটি বলবত থাকবে। তাছাড়া বর্তমানে কমিটির সদস্য সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে।

ক্ষোভ প্রকাশ করে সাবেক সংসদ সদস্য ফিরোজা বেগম চিনু বলেন, রাঙামাটি জেলা আওয়ামী লীগে গণতন্ত্রের অভাব দেখা দিয়েছে। কোনো কথাই বলা যাচ্ছে না। বললে বাদ দেওয়ার পদ্ধতি প্রয়োগ করা হচ্ছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে জেলা আওয়ামী লীগের প্রথম সারির এক নেতা বলেন, মুছা ও দীপংকর তালুকদার পকেট কমিটি করে দলের কেন্দ্রীয় দপ্তরে জমা দিয়েছেন, এটি আমরা নিশ্চিত হয়েছি। কাগজপত্র আমাদের কাছে এসেছে। মূলত: সামনের জাতীয় নির্বাচনে আবারও দীপংকরের একতরফা মনোনয়ন নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে এসব নানান টালবাহানা চলছে। কিন্তু তাতে এবারে লাভের সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ।

রাঙামাটি জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুছা মাতব্বর বলেন, আমাদের পূর্ণাঙ্গ জেলা কমিটি এখনো অনুমোদন হয়নি। যেসব নানা কথাবার্তা বলা হচ্ছে, সেগুলোর সব কথা সঠিক নয়।

অন্য দিকে সামনের জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তে বর্তমান ১০০ এমপিকে হেরে যাওয়ার সম্ভাবনায় মনোনয়ন না দেওয়ার যে তালিকা হয়েছে, সেখানে রাঙামাটির দীপংকর তালুকদারের নামও রয়েছে বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে। কিন্তু তবু মনোনয়ন পেতে জোরালোভাবে তৎপর দীপংকর।

অপর দিকে সামনে আসনটিতে দলীয় প্রার্থী হিসাবে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমার মনোনয়ন চান দলটির বৃহৎ একটি অংশ।

এ দিকে দীপংকর সামনের নির্বাচনে আবারও দলীয় মনোনয়ন নিশ্চিতে ২ মার্চ রাঙামাটি জেলা পরিষদের বিশ্রামাগারে উপজেলা ও পৌর আওয়ামী লীগের সমর্থন আদায়ে সভাপতি ও সম্পাদকদের নিয়ে বৈঠক করেছেন বলে জানা যায়।

বৈঠকটি জেলা আওয়ামী লীগের ব্যানারে মতবিনিময় সভার নাম দিলেও দলের অনেকের মতে, যেখানে জেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির অনুমোদন হয়নি- সেখানে সভাপতি ও সম্পাদক কেবল ব্যক্তি পুরো জেলা আওয়ামী লীগের নাম ব্যবহার করতে পারেন না।

ওই বৈঠকে দীপংকর তালুকদার বলেন, অতীতে সংসদ নির্বাচনে দল হতে আমি একাই মনোনয়ন চেয়েছি, অন্য কেউ চায়নি। তাই বলে আগামীতে যে কেউ চাইবে না, এমনটা ভাবার কোনো সুযোগ নেই। এ নিয়ে বিভ্রান্ত হলে চলবে না। আজকাল দলে আওয়ামী লীগ নয় ‘আমিলীগ’ বেড়ে গেছে। এই ‘আমিলীগ’ নিজে পদ পেলে সব ঠিক আছে, আর না পেলে কিছুই ঠিক নেই।

তিনি আরও বলেন, নির্বাচনের দলীয় মনোনয়নেও একই অবস্থা। এখানেই শেষ নয়, এরা পদ বা জিতে গেলে শুরু করে ‘আমিলীগ’ গঠন। এদের কারণেই আজ হাইব্রিডের জয়জয়কার। এসব ‘আমিলীগ’ থেকে সতর্ক থাকতে হবে।

এ বিষয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মুছা মাতব্বর জানিয়েছেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে দলকে ঐক্যবদ্ধ ও শক্তিশালী করতে আমাদের অধীনে ১২টি ইউনিটের সভাপতি ও সম্পাদককে নিয়ে ওই সভা অনুষ্ঠিত হয়। মূলত: সাংগঠনিক বিভিন্ন বিষয় নিয়েই সভাটির আহবান করা হয়েছিল।

আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি দৈনিক অধিকারকে জানাতে ই-মেইল করুন- inbox.odhikar@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: inbox.odhikar@gmail.com

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড